
আজকাল চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল
দু চোখ ক্লান্ত দেখে দেখে
একদিন আমি আর দেখব না এসব
দেখবে না আমার দু চোখ,
কোন এক কালো রাত কিংবা আলোর দিনে
আমিও অন্ধ হব দুচোখ অন্ধকার হয়ে,
আমি না দেখলেও তোমরা দেখবে সেদিন সব
মাটিতে শুইয়ে দিতে দিতে নিথর এক শব;
তারপর?
আচ্ছা মাটির ঘরটা কেমন?
বরফ বরফ হিম শীতল নাকি আগুন আগুন তীব্র গরম?
ওখানে কি কোনো আলো আছে নাকি কালো কালো অন্ধকার চরম?
দাঁড়াও আগে আমি নিজে দেখে নেই
তারপর না হয় বলবো তোমাদের!
আহা! কিভাবে বলবো? ওখান থেকে তো ফেরা যায় না
এটা ওয়ান ওয়ে জার্নি, রিটার্ন টিকেট এখানে মেলে না;
হায়! যদি ফিরতে পারতাম! তবে তোমাদের এসে বলে যেতাম,
দিন আর দ্বীন এর মাঝে আকাশপাতাল পার্থক্য, পার্থক্য ব্যভিচারী জীবন আর সরল পথের মাঝে এখানে তারাই ভালো আছে, যারা সরল পথে ছিলো;
সরল পথটা চেন?
উঁহু! ওটা না কিন্তু! ঐ যে সোজা রাস্তাটা চলে গেছে ঐ বহুদূর,
সরল পথ হচ্ছে ঈমানের পথ
নামেই সরল, আসলে বড্ড কঠিন, এবড়ো থেবড়ো, কণ্টক ;
তবে ওখানে যারা কঠিন পথকে সরল করে নিয়েছিলো
এখানে তাঁদের আছে আলো চারিধার
আর ওখানে যাদের কাছে ছিলো ব্যভিচার
এখানে? ওদের জন্য বড্ড বেশি অন্ধকার;
ইশশ!
একবার যদি তোমাদের এসে বলে যেতে পারতাম!
কঠিন হলেও সরল পথটাকে খোঁজো
বড্ড ক্ষণস্থায়ী এ জীবন এটুকু তো অন্তত বোঝো!
এই যে, তোমরা শুনতে পাচ্ছ! পাচ্ছ না!
এখানকার যা কিছু ছিলো তোমাদের সামনে মেলে দিলাম সব,
কি বুঝছ তোমরা? বুঝছ কিছু?
নাকি শুধুই দেখছ, মৃত্যুর মিছিলে সাদা কাপড়ে মোড়া নিথর এক শব।
লেখক-
জে.এইচ জাহেদুল ইসলাম