
আজ তুমি কিসের জোরে হাঁকছ ওহে অধম
করি ধিক্কার তোমার চিৎকার
শোরগোল ছিলো অপ্রয়োজন।
ভাবছ হবে উন্মাদ রক্ত পিশাচীর মতো
তব হুঙ্কারে কে চমকায়রে
আবাল জুড়েছ যতো।।
যত ক্ষেমতা সব অযথা
করলি শুধু ফুসফাস
নাই রক্ষে বিধির পক্ষে
আসিবে সর্বনাশ।
আজ নেই মান অপরে অসম্মান
করিতে যার ইচ্ছা
সময়ে সেই হয় শুধুই পরাজয়
একদা যাবে সে মূর্চ্ছা।
অযথা গর্জন নেই প্রয়োজন
সঠিক সময়ে দেখা যায়
কার কি ক্ষেমতা তারই বারতা
পাগলেই বলে বেড়ায়।
হায়রে অধম আজ!
বুঝিলেম যত প্রপাগাণ্ডা আছে করাই তোমার কাজ।
তুমি হয়তো ভাবছ নিজেকে ক্ষমতাশীল এক মানুষ
নিছক মিথ্যা ভাবছ আসলে হারিয়ে জ্ঞান হুঁশ।
ক্ষণিকের ভাষ্য অনেকের হাস্য
মনে করে এক পাগলা,
সম্মুখে শির নত করে ধীর
পশ্চাতে বাঝানোর ছল্লা।
ভেবেছ কি তবে উত্তম হবে
গাল বাজি আর হুঙ্কারে,
অসত্যের জয় দীর্ঘদিন নয়
প্রপাগাণ্ডায় বল কে ডরে।
অশালীন কথা যেকারো মাথা
জানি হবে খুব খারাপ
যে দেয় গালি তারে আমি বলি
প্রভু করবে না মাফ।
তালে বেতালে যোগসাজশে চলে
একই পাপে পাপী,
মহা বিচারে কি করবিরে,
পাবি কি বিধির কাছে মাফী?
ওহে মিথ্যাবাদি ইমান থাকে যদি
করতিনে এতো হাহুতাশ,
অবৈধ পথে থেকে- মুখোশে নিজেরে ঢেকে
খুব ভাব নিচ্ছিস আজ।
আসামাজিক যত কাজে আছিস ব্রত,
নির্দিধায় সব আজ করে যা,
তোরে নিয়ে নাচে যারা আছে পাছে
নিচ্ছে সকলেই মজা।
আসবে এক সময় কেউই আপন নয়
সবাই পালাবে হায় দূরে,
যারা নিচ্ছে শপথ হবে না তব ক্ষত
তারাই বলবে একদা- বাবা আপনারে বাঁচারে!
লেখক
মনির উদ্দিন নজরুল
পেকুয়া, কক্সবাজার।