
মহানগর নিউজ:
ফুসফুস, লিভার ও হার্টে সমস্যা এবং জন্ডিস ও রক্তশূন্যতায় ভুগছে খিং খিং মে (১১)। তিন মাস চিকিৎসা নিয়েছে চিটাগাং ট্রিটমেন্ট হসপিটালে। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারেনি তার অভিভাবকরা। এখন মেয়েটি কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রাখাইন পল্লীতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মেয়েটিকে বাঁচাতে দরকার ৫ লাখ টাকা। সেই টাকা যোগাতে সরকারি, বেসরকারি অফিস আর বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবা।
সূত্র জানায়, রাখাইন পল্লীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইউমং রাখাইনের একমাত্র মেয়ে খিং খিং মে। তার রয়েছে আরও দুই ছেলে। সবাই লেখাপড়া করে। বড় ছেলে পেকুয়া কলেজে ও ছোট ছেলে বারবাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। মেয়ে খিং খিং মেও বারবাকিয়া হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ইউমং রাখাইন সংসারের সব খরচ মেটান দোকানে দোকানে পান বিক্রি করে। কিন্তু হঠাৎ খিং খিং জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। সহায় সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এখন নিরুপায় হয়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে এসেছেন।
ইউমং রাখাইন বলেন, চিকিৎসকরা বলছে আমার মেয়েকে বাঁচাতে ৫ লাখ টাকা দরকার। আমি গরিব মানুষ। আমার কাছে এত টাকা নেই। আমার মেয়েকে বাঁচাতে আমি সকলের সাহায্য চাইছি।
কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক আলহেরী রাখাইন বলেন, মেয়েটি আমার প্রতিবেশী। তার বাবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তবুও কখনো ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কিংবা সংসারের খরচ যোগাতে কারো কাছে হাত পাতেননি। কিন্তু এখন মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে সকলের সহযোগিতা চান।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, আমি মেয়েটিকে দেখতে তার বাড়ি গিয়েছিলাম। নিজের সাধ্যমত চিকিৎসার জন্য কিছু দিয়ে এসেছি। এছাড়া মেয়েটির চিকিৎসার্থে আমরা একটি ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।
কেউ মেয়েটির চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে ইউমং রাখাইনের ০১8৩৬২৪০৫৫৯ নম্বরে ( পারসোনাল বিকাশ কিংবা নগদ) যোগাযোগ করতে পারেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. মোতাছেম বিল্যাহ বলেন, এটা আমি জানতাম না। পরে জানতে পেরে তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটা অনুদানের ব্যবস্থা করছি।